নিসর্গ পুরাণঃ অবতরণিকা

Nature_Green

অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম গাছপালা নিয়ে কিছু লেখার। কারণ, এই পৃথিবীতে গাছপালা, ফুল আর গাছের ডালে বসে পুচ্ছ নাড়তে থাকা পাখিরাই আমার মনকে আন্দোলিত করতে পেরেছে সবচাইতে বেশি। আবার, অনেক সময় ফল ধরে থাকা কোন বৃক্ষ আমার কাছে ছাপিয়ে গেছে পার্থিব আর সব সুন্দরকেই। তারা সকলে যেন আমার কাছে সব মুগ্ধকর জাদুকর। আমি সবসময়ই অপার্থিব এক মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছি তাদের।

প্রকৃতির প্রতি আমার যে মুগ্ধতা, তার কৃতিত্ব অনেকখানি লেখক বিভূতিভূষণের। খুব অল্প বয়সে পড়া তাঁর ‘পথের পাঁচালি’ অপুর সাথে আমাকেও নিয়ে গিয়েছিল প্রকৃতির খুব কাছে। মাটির সোঁদা গন্ধ যেখানে মিশে থাকে, জল ও জঙ্গলের আদিমতা যেখানে লুকিয়ে থাকে ঠিক সেখানে। সেই থেকে শুরু। কলেজে পড়ার সময়টাতে আমার মুগ্ধতা খুঁজে পেয়েছিলো নতুন এক মাত্রা। ‘নটর ডেম কলেজ’ সবার কাছে পরিচিত দেশ সেরা মহা-বিদ্যালয় হিসেবে। এই নামটি আমার কাছে বিশেষ হয়ে আছে প্রকৃতির এক নিবিড় পাঠাগার হিসেবে। প্রকৃতির সাথে সহ-অবস্থানের এক অনবদ্য উদাহরণ এই প্রতিষ্ঠানটি।

সবশেষে, আমার গ্রাম ও গ্রামের বাড়ি-‘শ্যামল-ছায়া’; গ্রাম-বাংলার চিরকালীন প্রকৃতি আর আমার গ্রাম যেন মিলেমিশে একাকার।

আমার অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা তাই এই সকল কিছুর প্রতি।

 হঠাৎ একটি অচেনা কলমি ফুল
অবাক তাকায় আমার দিকে;
আমিও তাকে দেখি।
তার সংবেদ ছড়ানো পাতাগুলো
দোল খায় বাতাসে;
চিরকালীন দামাল ভঙ্গিতে।

তাদের সাথে কোনদিন

কথা বলিনি আমি।
তবুও মনে হয়;  তারা ও আমি- আমরা
চিরদিনের অন্তরঙ্গ 
পরস্পর।