কয়েকটি নীল ময়ুরের যৌবন এবং বিবিধ

il_570xN.249610804

তোকে কবির কল্পনায় আমি চাইনি কখনো,
আর কখনো সেটা চাইও না আমি। কেবল
আমার জানলার কার্নিশে, বিকেলের পিছলে যাওয়া রোদে
এক জোড়া চড়ুই- যেমন তাদের সব মান-অভিমানের
পালা চুকিয়ে-বুকিয়ে দিয়ে ফুড়ুৎ করে মিলিয়ে যায়;
অসীম নীলে,
তোকে নিয়ে তেমনি চেয়েছিলাম
এক আকাশে পাখির উড়াল হতে।

শুধু নিজের জন্য আমি তোকে চাইনি কখনো,
তা আমি চাইবোও না। কেবল ফাল্গুনী পূর্ণিমার রাতে
যে আলো উছলে পড়ে দিক-বিদিক, সে আলো
সারা মুখে মেখে একা ছাদে
তুই যখন গান ধরিস,
সেটা যে আমার পছন্দের রবীন্দ্রনাথের গানই হতে হবে
এমন বিলাসিতা আমার একদমই নেই।
আমি চেয়েছিলাম অপার্থিব সেই আলোয়
তুই কেমন মায়াবী তা দেখতে।

শুধু ঘরকন্নার জন্য হলে তো আমি কতজনকেই পাই!
সব ঘরকন্নাকে চুলোয় যেতে দিয়ে এক মগ চা হাতে
বৃষ্টি দেখার জন্য আমি ক’জনকেই বা পাই! শহুরে
বৃষ্টির দিনে, ইলেকট্রিক লাইনে বসে থেকে থেকে,
বোকার মতো ভিজতে ভিজতে,
জবুথবু হয়ে যায় যে কাক,
যাকে দেখে জীবনে প্রথম বারের মতো মনে হয়, হয়তো
কাক হলে বেশ হতো, তোকে নিয়ে ঠিক সে রকম
শহরের রাস্তায় চেয়েছিলাম
কাকভেজা হতে।

চেয়েছিলাম, যেন হই শুধু তুই আর আমি; আমি আর তুই।
আর যেন পাই কয়েকটি নীল ময়ুরের যৌবন।