The Bicycle Thief (1948)

20145cec1378-c247-4c47-9314-26270462c167

সৌভাগ্যক্রমে একটা কাজ জুটে গেলেও, অ্যান্টিনিও রিচির যে বিধি বাম! নতুন কাজের জন্য একটা সাইকেল তার অবশ্যই লাগবে। বন্দকী দেয়া নিজের এতদিনের পুরনো সাইকেলটা স্ত্রী মারিয়ার চেষ্টায় ছাড়াতে পারলেও, চাকরির প্রথম কর্মদিবসেই সেটা এক সাইকেল চোরের নেক নজর এড়াতে পারে না!

চলতে থাকে ছেলে ব্রুনোকে সাথে নিয়ে তার চুরি যাওয়া সাইকেল উদ্ধার অভিযান। সাইকেলের হদিসে হন্যে হয়ে কোথায় যায় না তারা? শেষ পর্যন্ত চোরের নাগাল পেলেও খোয়া যাওয়া ‘লাইটওয়েট ফিদে- নাইন্টিন থার্টি ফাইভ মডেল’ বাপ-বেটার নাগালের বাইরেই রয়ে যায়। এদিকে একটা সাইকেল না থাকলে কাজও থাকবে না। তাই দ্বিতীয় কোন উপায় না পেয়ে যেমন হোক সাইকেল চুরির ফন্দি আঁটে রিচি। কিন্তু তার যে বিধি বাম! সাইকেল চুরি করতে যেয়ে ধরা পড়ে যায় সে।

অসাধারণ পরিচালনা; সব চরিত্রের এক সমান অনবদ্য, সাবলীল অভিনয়। জায়গায় জায়গায় ব্যবহার করা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকগুলোও মনে দাগ কাটার মতো।

মুভিঃ দি বাইসাইকেল থিফ/ বাইসাইকেল থিভস (১৯৪৮)
পরিচালকঃ ভিত্তোরিও ডি সিকা
আমার রেটিং- ৯.১/১০

The Flowers of War (2011)

The Flowers of War (2011) Directed by Zhang Yimou Based on 13 Flowers of Nanjing by Geling Yan Starring: Christian Bale, Ni Ni, Zhang Xinyi
The Flowers of War (2011)
Directed by Zhang Yimou
Based on 13 Flowers of Nanjing by Geling Yan
Starring: Christian Bale, Ni Ni, Zhang Xinyi
*******
The history of war is as old as the history of human civilization. Man destroys his peace to ensure it! The Flowers of War, a 2011 Chinese historical war film makes me think about such atrocities during the attack of the Japanese on the Chinese.This film opens বিস্তারিত পড়ুন

Life Goes On (2009)

83161689956889281689924

Directed by Sangeeta Dutta
Starring: Girish Karnad, Sharmila Tagore, Om Puri, Soha Ali Khan
Release dates: October 30, 2009 
Running time: 120 minutes
Country: United Kingdom
Language: English

গরু ডাকছে, আমাদের পুরনো বাড়ির
সব গরু:
মুংলি নামে, ঘেঁটি নামে, লক্ষ্মী ও কমলা নামে
আমাদের পুরনো বাড়ির
সব গরু,
ডাকছে,
দু’শো মাইল দূর থেকে…

সবাই চিৎকার করে ডাকছে ওই পঞ্চাশ বছর ও-ই-ই পঞ্চাশ
বছর দূর থেকে
গলা
চিরে যাচ্ছে,
শুনতে পাচ্ছো না?

ওপার থেকে ভেসে আসা এই ডাক নাকি অনেকে জীবনভর শুনতে পায়। তাই হাজার মাইল দূরে থেকেও, নিজের স্ত্রী মঞ্জু’র শেষকৃত্যের ঠিক আগের রাতেও যখন অনেক দিনের লন্ডনপ্রবাসী ডাক্তার সঞ্জয় ব্যানার্জি উদ্দেশ্যহীনভাবে লন্ডনের রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এবং পূর্ববঙ্গে ফেলে আসা তার শৈশবের ডাক শুনতে পায়, তখন আমাদের আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকে না। তখন অন্য অনেকবারের মতো আমাদের আরেকবার মনে হয়, দেশভাগ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সবসময়ের জন্যই একটি অন্তঃসারশূন্য ধারণা; অহেতুক উৎপাত।

53505606

সিনেমাটির চিত্রনাট্যে শেক্সপিয়ারের ‘কিং লিয়ার’ এর একটা প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি চোখে পড়ে। পরিচালক সঙ্গীতা দত্ত নিজেই ব্যাপারটি সরল করে দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়-

Life Goes On is inspired by the old tale of King Lear and his daughters. It is trying to find meaning for Shakespeare’s King Lear in a contemporary multicultural British context.

সদ্য বিপত্নীক সঞ্জয় ও তাঁর তিন কন্যার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আমাদের শেক্সপীয়ারের এই কালজয়ী নাটকটির কথাই বারবার মনে করিয়ে দেয়। তারা প্রত্যেকেই যার যার সমস্যা নিয়ে নিমজ্জিত। যেখানে জাতিগত দাঙ্গার দুঃখময় স্মৃতি এতোগুলো বছর বাদেও সঞ্জয়কে নিঃশব্দে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে, সেখানে এক মুসলিম ডাক্তারের সাথে তাঁর মেয়ের প্রনয় মেনে নিতে সে কতটুকু প্রস্তুত? তারা সকলেই কি পারবে ক্রমেই খারাপ হতে চলা পরিস্থিতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে?
36466464সঞ্জয় যদি পৌরাণিক লিয়ার হয়ে থাকেন, তবে তাঁর বন্ধু অলকের বাস দর্শনের চোরাগলিতে ; যে নিছক হাস্যরসের মাঝে সত্যটাকে তুলে ধরতে পারার মতো, প্রিয়জনের হিরণ্ময় স্মৃতিকে সম্বল করে ‘জীবন চলে যায়…’ বলতে পারার মতো একজন নিখাদ বোকা মানুষ!
81654205

93394110
মঞ্জুর সাথে তাঁর পরিজনদের স্মৃতিচারণে কিসের যেন একটা স্নিগ্ধতা জুড়ে ছিল পুরোটা সময়। হয়তো মঞ্জুরূপী শর্মিলা ঠাকুরের নিজের স্নিগ্ধতাই এর পেছনে বড় কারণ! সাথে রাবিন্দ্রিক একটা আবহ মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সত্যিই অনন্যা। যুগপৎ বাংলা ও হিন্দিতে ‘সখি, ভাবনা কাহারে বলে’ গানটির চিত্রায়ন যেমন অসাধারণ লেগেছে, তেমনি মুগ্ধ হয়ে নতুন করে আবিষ্কার করেছি রবীন্দ্রনাথের ‘তবু মনে রেখো’ গানটিকেও।

আমার মুভি দেখার সালতামামি- ১ম কিস্তি

movie watchlist1
  • The Secret in Their Eyes (2009): অসাধারণ একটা আর্জেন্টাইন ক্রাইম থ্রিলার। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন এক সুদর্শন আর এক সুদর্শনা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রিকার্ডো ড্যারিনের জাদুকরী অভিনয় আর অনিন্দ্যসুন্দর ভিল্লামিলের সোনালি দ্যুতি থেকে চোখ সরিয়ে এক মুহূর্তের জন্যও জাগতিক অন্যকিছুর উপর চোখ রাখার কোন ফুসরত পাইনি বলতে গেলে। বহুবার দেখলেও এই ঘোর কাটবার নয়! আমার রেটিং: ৯.৮
  •  Spring, Summer, Fall, Winter… and Spring (2003): কিম কি-দুকের কোনো কাজের সাথে আমার এই প্রথম পরিচয়। প্রথম পরিচয়েই তাঁকে অনেক আপন বলে মনে হয়েছে। কিছু নিরীহ ঘটনা পরম্পরার যে এতো তাৎপর্যময় এবং একই সাথে বিশদ অর্থ থাকতে পারে, তাঁর এই মুভিটা না দেখলে কখনো মনে হতো না। তাঁকে নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক। এই মুভিটা দিয়ে সবে শুরু! ধীরে ধীরে তাঁর সবগুলো সৃষ্টির অভিজ্ঞতায় নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবো বলে আশা পোষণ করি। আমার রেটিং: ৯.৫
  • Turtles Can Fly (2004): সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর বানানো প্রথম ইরাকি সিনেমা। যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তু কিছু শিশু-কিশোরের অভিভাবকহীন, উড়নচণ্ডী জীবনের ছবি একের পর এক দেখিয়ে যায় সিনেমাটি। বাহমান ঘোবাদি-র অসাধারণ পরিচালনা এবং সব ক্ষুদে অভিনেতা-অভিনেত্রী’র একই সমান অনবদ্য অভিনয় ছিল দেখার মতো। আমার রেটিং: ৮.৯
  •  Oh My Friend (2000): পুরুষ ও নারীর মধ্যে কি কামহীন, পরিণয়হীন বন্ধুত্ব সম্ভব? আমি বলি, সম্ভব না। কিন্তু বিষয়টিকে সম্ভব প্রমাণ করতেই যেন কোমর বেঁধে বানানো হয়েছে সিনেমাটি! খুবই গতানুগতিক এবং সহজে অনুমেয় তামিল এই মুভিটি উপভোগ করেছি না বলে, বলা উচিত শ্রুতি হাসানকেই বেশি উপভোগ করেছি। এটাই সত্য! আমার রেটিং: ৬.৫
  • Talaash: The Answer Lies Within (2012): হিন্দি সিনেমা আমার খুব বেছে বেছে দেখা হয়। এই সিনেমাটি দেখবো দেখবো করে দেখা হয়ে উঠেনি অনেকদিন। অবশেষে ফুসরত মিলল দেখার। সময় বৃথা যায় নি। মুভির সাসপেন্স ধরে রাখাটা চরম লেগেছে। পানিতে ডুবে ছেলের মৃত্যুটা আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করা যেত। আমার রেটিং: ৮.০
  •  Wake Up Sid (2009): এই আমার শহর, জানলা ও ঘর। শ্যাওলা প্রাচীর জানে, কে আপন-পর! মুম্বাই শহরের আলো-হাওয়ায় বেড়ে উঠা একজন যুবক নিজেকে খুঁজে পায়, এই শহরে সদ্য আসা আরেকজনের বন্ধুত্বের প্রশ্রয়ে। কিন্তু নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব কি শুধুই বন্ধুত্ব? অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি। রনবীর কাপুর অসাধারণ, আর কঙ্কনা সেন শর্মা তো অনেক আগে থেকেই অসাধারণ! আমার রেটিং: ৮.১
  •  The Vow (2012): I vow to help you love life, to always hold you with tenderness and to have the patience that love demands, to speak when words are needed and to share the silence when they are not, to agree to disagree on red velvet cake, and to live within the warmth of your heart and always call it home……. I vow to fiercely love you in all your forms, now and forever. I promise to never forget that this is a once in a lifetime love….

এই মুভি নিয়ে কিছু বলা আমার কাজ না। আমার কাজ শুধু যখন সময় হয়, তখন মুভিটা দেখা। যতবার সম্ভব দেখা। বলার বেলায় কেবল একটা জিনিসই বলতে পারি,  Love you, Rachel McAdams!!!  আমার রেটিং: ৯.১

  •  Shanghai (2012): একই নামে আরও একটি মুভি আছে। পরিচালক দিবাকর ব্যানার্জি-র এটা মাথায় রাখার দরকার ছিল। কোন জায়গায় জানি পড়েছিলাম, এই সিনেমাটি আরেকটা কোন দেশীয় সিনেমার নাকি রিমেক! কিন্তু পরিচালক শেষ পর্যন্ত এটিকে উৎকৃষ্ট দেশীয় প্রোডাক্ট বানিয়ে তবে ছেড়েছেন! এখানেই তাঁর মুন্সিয়ানা। পুরো সিনেমাজুড়ে অভয় দেওল-কে একজন সরকারি আমলা ছাড়া কস্মিনকালে তিনি আর কিছু হতে পারেন বলে মনে হয় নি। ইমরান হাশমি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা চরিত্রে অভিনয় করে তাঁর জাত চিনিয়েছেন। কাল্কি কয়েচলিনকে (Kalki Koechlin) দেখে বরাবরের মতো বিরক্ত লেগেছে। এটা অবশ্যই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমার রেটিং: ৮.৫
  •  Life is beautiful (1997): রবার্তো বেনিনি’র একটি অনবদ্য ক্লাসিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে হিটলারের ইহুদী নিধনের নৃশংস বাস্তবতাকে উপজীব্য করে বানানো সিরিয়াস কমেডি ঘরানার মুভি এটি। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও পুত্রের দিকে তাকিয়ে তাকে আশ্বস্ত করে, পিতার হাসিমুখে পুত্রকে অতিক্রম করে যাওয়ার দৃশ্য বিশ্ব চলচ্চিত্রের এক অসামান্য সম্পদ বলে মনে করি। আমার রেটিং: ৯.৯
  •  Utsab: The Festival (2000): ঋতুপর্ণ ঘোষকে চিনতে অনেকটাই সাহায্য করবে এই সিনেমাটি। শারদীয় একটি উৎসব ‘পূজা’; এই পূজাকে উপলক্ষ করে এককালের একটি বনেদি বাড়ির মানুষগুলোর নিজেদের সম্পর্কের জটিলতাকে আবিষ্কার করা হয়েছে এক অনায়াস দার্শনিকতায়। ‘অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া…’ রবি ঠাকুরের এই গানটি বিশেষ মনে ধরেছে, যেমন মনে ধরেছে অর্পিতা পাল-কে! আমার রেটিং: ৮.৯

In The Mood For Love- (ইন দ্যা মুড ফর লাভ)

In The Mood For Love

In The Mood For Love (2000)

নামজাদা পরিচালক অং কার ওয়াই-য়ের অন্যতম ফিল্ম    ট্রিলজি ডেইজ অফ বিয়িং ওয়াইল্ড-ইন দ্যা মুড ফর লাভ-২০৪৬ -র মধ্যমনি ‘ইন দ্যা মুড ফর লাভ’; ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রটির গায়ে এরই মধ্যে লেগে গেছে চিরায়ত চলচ্চিত্রের তকমা। দুই কি তিন বছর আগে জি স্টুডিও-তে মুভিটি প্রথম দেখেছিলাম। প্রথমবারেই মুগ্ধ হয়েছিলাম এটির অনবদ্য নির্মাণশৈলীতে। মনে আছে, সিনেমার পুরোটা সময় কেমন যেন আবিষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম। অং কার ওয়াই নিশ্চিত জাদু জানেন!

21386_403764236407205_325410992_n

Directed, produced & written by Wong Kar-wai
Starring:Tony Leung, Maggie Cheung
Music by Michael Galasso, Shigeru Umebayashi
Cinematography: Christopher Doyle, Mark Lee, Ping Bin
Release date(s): 29 September 2000 (HK)
Running time: 98 minutes
Country: Hong Kong
Language: Cantonese, Shanghainese, French
Box office: $12,854,953 (worldwide)

সময়: ১৯৬২, স্থান: হংকং-য়ের সাংহাইনিজ অঞ্চল। মিস্টার চো দম্পতি আর মিসেস চ্যান দম্পতি একইদিনে একই এপার্টমেন্টের পাশাপাশি ফ্ল্যাটে ভাড়া নেন। শীঘ্রই তারা দুইজনেই আবিষ্কার করেন, তারা যথাক্রমে তাদের স্ত্রী আর স্বামী দ্বারা প্রতারিত। আসলে চলচ্চিত্রটির কোথাও আমরা তাদের (মিসেস চো এবং মি. চ্যান) দেখিনি, হয়তো দেখানোর প্রয়োজন ছিল না বলেই দেখানো হয়নি।

মি. চো আর মিসেস চ্যান একইরকম নিঃসঙ্গতায় তাদের সন্ধ্যা কাটান, সন্ধ্যার পরে প্রায়ই তারা কাছের নুডুলসের দোকানে ঢুঁ মারেন। আসা-যাওয়ার মাঝখানের অপ্রশস্থ, সরু গলিতে তাদের দেখা হয়; কিন্তু একজন আরেকজনকে অতিক্রম করে চলে যান। শেষ পর্যন্ত তাদের দু’জনের রাস্তাই এক এবং অভিন্ন গন্তব্যে আসতে পেরে যেন স্বস্তি খুঁজে পায়! কিন্তু, যতোই তাদের মধ্যকার সম্পর্ক গভীরতর হতে থাকে, ততোই তাদের ভয় হতে থাকে যে, তারাও হয়তো তাদের প্রতারক স্বামী-স্ত্রীর মতো কাজ করছেন!

dut-yeung-nin-wa-665938l

অং কার ওয়াই-য়ের চলচ্চিত্রগুলোতে আমরা দেখতে পাই নিঃসঙ্গ মানুষদের জয়জয়কার; নিরুৎসব নিঃশব্দের মাঝেই আমরা আবিষ্কার করি চরিত্রগুলোর অভ্যন্তরীণ আবেগ। আর তখন আমরা চাইলে নিজেরাই বুঝে নিতে পারি চরিত্রগুলোর জটিল অন্তরদহন।

in_the_mood_for_love11

অং কার ওয়াই-য়ের চলচ্চিত্রগুলোতে আমরা দেখতে পাই নিঃসঙ্গ মানুষদের জয়জয়কার; নিরুৎসব নিঃশব্দের মাঝেই আমরা আবিষ্কার করি চরিত্রগুলোর অভ্যন্তরীণ আবেগ।

‘ইন দ্যা মুড ফর লাভ’-এ প্রধান দুই চরিত্রই পরিণত, বিবাহিত; মোট কথা তারা সবকিছু আগুপিছু চিন্তা করেই করে। ভালোবাসা বিষয়ক জটিলতা নিয়েও তারা খুব সচেতন। ‘আমরা অন্তত তাদের মতো হচ্ছি না’- এই যখন তাদের ধ্যান-ধারণা, তখন আমরা বুঝে নিই যে, একসাথে থাকা হয়তো তাদের হচ্ছে না!

‘ইন দ্যা মুড ফর লাভ’ একটা মাস্টারপিস- এই বিষয়ে আমাদের মনে কোন সংশয় থাকে না। দুইজন একাকী মানুষের ধীরে ধীরে গাঢ় হওয়া রোমান্সের মতোই চলচ্চিত্রটি দেখার সুখস্মৃতি ধীর গতিতে, কিন্তু সম্পূর্ণ স্থায়ীভাবে আমাদের মনে আর মগজে গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয় এবং অনুরনিত হয় বারবার।