বাংলা সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের অবদানের কথা বলে চর্বিতচর্বন করার কোন মানে হয় না। সত্যজিৎ রায় কতো বড় চলচ্চিত্রকার ছিলেন, কিংবা তাঁর হাতে বাংলা সিনেমা কতটা মহৎ শিল্পমাধ্যম হয়ে উঠতে পেরেছে সেসব প্রশ্নও আজ অবান্তর। সত্যজিৎ রায় আক্ষরিক অর্থেই ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের দিকপাল; হয়ে আছেন অবশ্য এখনো।
১৯৫২ সালের শরৎকালের এক বিকেলবেলায়, দীর্ঘ শাদা কাশফুলে ছাওয়া এক মাঠের মধ্যে তিনি শুরু করেছিলেন ‘পথের পাঁচালি’-র শুটিং। যে ব্রিটিশ বিজ্ঞাপনী সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, সেখানে ছিল তাঁর পাকা চাকরি। সে চাকরি ছেড়ে তিনি যে সিনেমা বানাতে লেগে গেলেন, সেটার একমাত্র কারণ ছিল শিল্পের প্রতি তাঁর দায়বোধ।
এতো সফল চলচ্চিত্রকার হয়েও ব্যক্তি সত্যজিৎ সবসময়ই থেকে গেছেন অনেকটা অপঠিত। ‘অপুর পাঁচালি’-তে সত্যজিৎ রায় বলে গেছেন তাঁর নিজের জীবনের কথা, চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর নিজস্ব দর্শনের কথা, ‘অপু ট্রিলজি’ নিয়ে তাঁর নিজস্ব ধ্যান-ধারণা আর অভিজ্ঞতার কথা এবং এমনি আরও বিবিধ।
‘অপুর পাঁচালি’ লেখকের ইংরেজিতে লেখা স্মৃতিকথা ‘My Years with Apu’ এর বাংলা অনুবাদ। কেমন করে, কতখানি বাধা-বিপত্তি ও বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে তিনি সার্থকতায় পৌঁছেছিলেন তার নেপথ্য-কাহিনী ‘অপুর পাঁচালি’।
- অপুর পাঁচালি
- সত্যজিৎ রায়
- প্রকাশকঃ নওরোজ কিতাবিস্তান
- প্রথম বাংলাদেশ সংস্করণঃ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭