সভ্যতার শ্বাস

এইখানে আগে কিছুই ছিল না
বললে খুব ভুল বলা হবে।
ছিল। কিছুতো ছিলই।
একটি-দু’টি অনুচ্চ খেঁজুর গাছ
কচি সবুজ পাতা সমেত;
একদিন এই ঊষর প্রান্তর
আঁকড়ে ছিল। কোন একদিন
এখানে থাকা বয়েসি
তাল গাছটির মাথায়
ঝুলে থাকা বাবুইয়ের বাসায়,
দখিনা বাতাসের দোলা লাগতো।
ছেঁড়া বিস্কুটের প্যাকেট, মাটির
সাথে প্রায় মিশে যাওয়া
কিছু পুরনো কাগজ ছিল
এদিক-ওদিক; আর ছিল
বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো কতগুলো
নীরব মাটির ডেলা।

এখন সেখানে একটি
সুকুমার গৃহ;
শান বাঁধানো ঘাট।
পুকুর পাড়ে নারকেল, সুপুরি
আর গন্ধলেবুর সবুজ
হাতছানি।
দীঘির শান্ত, নিথর জলে
মাছেদের নীরব সন্তরণ।