জলরঙ ছবি

1 (32)-Lগোধূলি লগনে ওই নিকুঞ্জবনে
ফিরছে কিছু পাখি;
সন্ধ্যার তিমিরে।

বেশুমার পাখিদের অচেনা
বেহাগে,
শর্বরীর নৈঃশব্দ্যে;
সমাচ্ছন্ন এক ভালোলাগার
আবেশে; ভেসে যাই
ভাবনার অতলে।

কোলাহল থেকে দূরে
নির্জনে, নিভৃতে;
সুউচ্চ, শিরোচ্চ বীরারূপ-
গাম্ভীর্য নিয়ে অপেক্ষায় আছে
তোমার।

কান পেতে শুন তবে।

সেখানে সকালের
সোনা রোদ খেলা করে
করচ গাছের
শাখায় শাখায়।
আর-
বেলাশেষের বিলীয়মান আলোয়-
নদীর ধারে চুপচাপ বসে থাকে
এক কানিবক।
তার স্বভাব-বিরুদ্ধ গাম্ভীর্য
নির্মম নির্লিপ্ততা ছাড়া যেন
আর কিছুই নয়।

সবুজ ঘাসের চাদরে ছাওয়া
সেই নদীর দুই কূল; তার
কোথাও নেই ভাঙনের
কোন চিহ্ন।
করচ গাছের পাতার শিল্পিত বিন্যাস
আর শীতল ছায়ায় সে হয়
আরও অপরূপ;
যেন জলরঙে আঁকা
কোন ছবি।

প্রতিদিনের যান্ত্রিকতার অবসরে
কান পাতলে এখনো শুনি-
করচ গাছের
ভেজা পাতার শব্দ;
ঠাণ্ডা বাতাসের
শিহরনের শব্দ।
পাখিদের ডানার
জল ঝাড়ার শব্দ।

এ সত্যিই আশ্চর্য এক কুহক।

সেখানে সকাল আসে
করচ গাছের সতেজ পাতায়।
আর-
সন্ধ্যা নামে
বরুণ গাছে গাদাগাদি করে
বসে থাকা,
হলুদ বুকওয়ালা
কুড়া ঈগলগুলোর
ধূসর ডানায়।

সূর্যডোবা পথের দিকে চেয়ে
যেন এক নতুন
সূর্যোদয়ের
অপেক্ষায় থাকে তারা।