রাস্তাটা সাপের মতন এঁকেবেঁকে
গেছে; গ্রামের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে
বিল ঘেঁষে, ঝিল ঘেঁষে; আঁকা হয়ে, বাঁকা হয়ে।
দূরে-অদূরের বয়েসি তালগাছগুলো
উঁকি দিয়ে দিগন্ত দেখার
তাল খুঁজছে। তার মাঝখান দিয়ে
আমি হেঁটে যাই একেলা, যেন
নিঃসঙ্গতায় করি স্নান।
এসো, নিঃসঙ্গতায় করি স্নান।
রাস্তা ছেড়ে আলের পথ ধরি।
রক্তিম সূর্যটাও হেঁটে চলে
আমার পিছু পিছু। জাতি-কড়ইগুলো
‘কেট’-এর মতো তাদের নগ্নতাকে ঢেকেছে
শিল্পের চাদরে। ধেয়ে আসা
উড়ন্ত বকের সারিগুলো
হঠাৎই দেখা দিয়ে মিলিয়ে যায়
কোন সুদূরে, যেন দিকচক্রবালে।
তার মাঝখান দিয়ে
আমি হেঁটে যাই একেলা, যেন
নিঃসঙ্গতায় করি স্নান।
এসো, নিঃসঙ্গতায় করি স্নান।